কুমিল্লায় ৪ ঘন্টায় রোগীর বিল ২১ হাজার; লিখিত অভিযোগে হাসপাতাল সিলগালা

জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লায় রোগীর পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনাউটেড হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রবিবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর টমসনব্রীজ সড়কের পাশে অবস্থিত ইউনাইটেড হাসপাতালে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই সময় হাসপাতালের নানান অনিয়মের কারণে হাসপাতালটিকে বন্ধ করে দেয়া হয়।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলামের নেতৃত্বে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আব্দুল কাইয়ূমসহ একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।

ভুক্তভোগী রোগী আতর আলী (৭০) লাকসামের উত্তরদা ইউনিয়নের মনপাল গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগীর ছেলে আবুল কাশেমের অভিযোগ রবিবার ভোরে আতর আলীর বুক ব্যাথা হলে তার পরিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেইখানে তাকে ভর্তি করানো পর চিকিৎসকের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এই সময় এক দালাল এসে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হবে বলে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে কিছু পরিক্ষা করে। পরিক্ষা করার পর চিকিৎসক আসবে বলে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত তাদের হাসপাতালে বসিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হলে স্বজনরা রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিতে চাইলে হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিবারকে ২১ হাজার টাকার বিল হাতে ধরিয়ে দেয়। এতো টাকা বিল কিভাবে আসছে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগির পরিবারের সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাদের আটকিয়ে রাখে।

পরে রোগীর স্বজনরা এই বিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে একটি দল এসে হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বের হয়ে আসে হাসপাতালটির নানা অনিয়ম। অভিযানে দেখা গেছে ২০১৬-১৭ সালে হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্স হালনাগাদ করা হয়নি। হাসপাতালটির কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন আওতাভুক্ত ছিল না। হাসপাতাটিতে সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকে অধিক মূল্যে পরিক্ষা করানো হত। সেবার নামে রোগীদের কাছ থেকে অধিক টাকা বিল করে নিয়ে যেতো। তাছাড়া হাসপাতালের ভিতরে ওটি ও কেবিন গুলো অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়।

অভিযান শেষে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালটি বিরুদ্ধে একজন রোগির পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে আমরা হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে হাসপাতালটির কর্তব্যরত চিকিৎসক বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশনে আওতাভুক্ত ছিল না, হাসপাতালটির লাইসেন্স হালনাগাদ ছিল না। তাছাড়া বিভিন্ন পরিক্ষার মূল্য তালিকা সরকারের নির্ধারিত তালিকা থেকে অনেক বেশি লেখা হত। এইছাড়াও হাসপালাতে নানা অনিয়ম পাওয়া গেছে। এই সব কারণে আমরা হাসপাতালটিকে বন্ধ করে দিয়েছি।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page